নোয়াখালীর কবিরহাটে প্রেমের টানে আবারও উধাও হয়েছেন সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। প্রথমবার উদ্ধারের পর মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর ফের বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি। পরে এ ঘটনায় থানায় অপহরণ মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা।
এদিকে গতকাল শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলা হলে রাতে ওই ছাত্রীকে ফেনীর মহিপাল এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে আজ রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওই ছাত্রী কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের এক সৌদি আরব প্রবাসীর মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পাশের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাদপুর গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে মো. রুবায়েত (২০) ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো। গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৮টায় রামেশ্বরপুর গ্রামের বাহার মিয়ার দোকান সংলগ্ন এলাকা থেকে রুবায়েত ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ছাত্রী এ ঘটনার সাতদিন আগেও প্রেমের টানে প্রেমিক রুবায়েতের সঙ্গে উধাও হয়ে যায়। পরে চাপরাশিরহাট ও সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে মায়ের হাতে তুলে দেন। কিন্তু তিনি পরিবারের অবাধ্য হয়ে গত ২৯ আগস্ট আবারও স্বেচ্ছায় প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়ে যায়।
সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকন বলেন, প্রেমিক রুবায়েতের মা আমার পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য। ঘটনাটি শুনে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে কৌশলে উদ্ধার করে তার মায়ের হাতে তুলে দিয়েছি। তবে ধূর্ত মেয়েটি সেদিনও তার পরিবারের সঙ্গে যেতে চায়নি। পরে আবারও পালিয়ে যায়।
এদিকে প্রেমের টানে মেয়ে উধাও হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে মামলার বাদী (৩৫) বলেন, প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েকে অনেক বুঝিয়েছি। ছেলেকে নিবৃত করতে তার বাবাকেও বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। প্রথমবার ঘরছাড়া হয়ে মেয়ে দুইদিন নিখোঁজ ছিল। উদ্ধারের সাতদিন পর আবারও উধাও হয়ে গেলে থানায় অপহরণ মামলা করি।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। পরে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ফেনীর মহিপাল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে অপহরণ মামলায় আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।