নৌকাবাইচ খেলাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত মেলার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার রমরমা ব্যবসা। এ অশ্লীল নৃত্য দেখে বিপথগামী হচ্ছে উঠতি বয়সের ছেলেরা। অন্যদিকে জুয়ার বোর্ডে টাকা ধরে সর্বস্ব হারাচ্ছে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ। নৌকাবাইচ মেলার নামে এসব হচ্ছে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের পশ্চিম চর বলরামপুরের নাদেরের নৌকাবাইচ মেলায়। জেলা প্রশাসনের কোনোরকম অনুমোদন ছাড়াই চলছে এ মেলা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর তীরবর্তী এলাকার দেড় থেকে ২ কিলোমিটার জুড়ে বাহারি রঙের দোকান। চারদিকে বাজছে নানা ঢঙের গান বাজনা। জমজমাট বেচাকেনা করছেন খাবার, খেলনা ও কসমেটিকসসহ অন্যান্য দোকানিরা। আকর্ষণ বাড়াতে বড় প্যান্ডেলের ভেতরে জাদু খেলা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। পুরো মেলার আবহ এমনটি হলেও এর ভেতরে চলছে ভিন্ন কিছু। জাদু খেলার নামে প্যান্ডেলের ভেতরে চলছে অশ্লীল নৃত্য। দিনে যেমন তেমন রাতের গভীরতা বাড়ার সাথে সাথে এই অশ্লীল নৃত্যের আয়োজন জোরালো হয়। অর্থাৎ রাত ১০/১১ টার পর থেকে পুরোদমে চলে এ অশ্লীল নৃত্য। ৭০ থেকে ১শ টাকার টিকিটে ঢোকানো হয় দর্শনার্থীদের। এ দর্শনার্থীর তালিকার বড় একটি জায়গায় রয়েছে উঠতি বয়সী ছেলেরা। এসব অশ্লীল নৃত্য দেখে বিপথগামী হচ্ছে তারা।
অন্যদিকে ওই প্যান্ডেলের উত্তর পার্শ্বে লিচু গাছের নিচে ও তাবু খাটিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে জুয়ার দুটি বোর্ড। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়াচ্ছেন। প্রশাসন আসলে কিছু সময় বন্ধ থাকে এগুলো। তাদের প্রস্থানে আবার শুরু হয় এসব জুয়ার কারবার। এ ধরণের অশ্লীলতা ও জুয়া খেলায় অতিষ্ট স্থানীয় অনেকেই। কিন্তু প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না কেউই।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কর্মকান্ড। লোক দেখানো দু'একটি অভিযান চালালেও সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
এ ব্যাপারে মেলা পরিচালনা কমিটির প্রধান ভাঁড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান এসব অভিযোগ অসত্য দাবি করে গণমাধ্যমকে বলেন, অশ্লীল নৃত্য দেখানোর প্রশ্নই আসে না।