চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে চতুর্থ দিনের মতো শিক্ষা ভবন দখলে রাখেন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইলেক্ট্রনিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সার্ভার। বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে শিক্ষা ভবনের দুই গেটে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে অবস্থা কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, চাকরি রাজস্ব খাতে হস্তান্তরের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চলবে।
আন্দোলন-কর্মসূচি চলাকালে কর্মকর্তা-পরিচালকে (কলেজ ও প্রশাসন) রুমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মূল গেটগুলোতে তালা লাগিয়ে ইলেক্ট্রনিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সার্ভার বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। শিশুদের কোলে নিয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাউশির সামনের অবস্থান করছেন আন্দোলনরত নারী কর্মকর্তরা।
গত ১৮ আগস্ট থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবি, প্রকল্প থেকে চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।
সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বাড্ডা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হাকিম বলেন, ‘২০০৭ সালে চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লুটপাটের উদ্দেশ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বার বার। আমরা স্থায়ী প্রকৃতির কাজ করলেও চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়া হচ্ছে না। ১ হাজার ১৮৭ জনের নামে পদ সৃষ্টি হলেও দেবো দিচ্ছি বলে রাজস্ব খাতে নেওয়া হচ্ছে না আমাদের। চার দিন ধরে আন্দোলন করছি। দাবি বাস্তবায়ন না হলে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।’
এদিকে দাবি আদায়ের এই আন্দোলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের স্বাভাবিক সব কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয়ে যায়। সেসিপে সরাসরি নিয়োগ করা ১ হাজার ১৮৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে মাধ্যমিক শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে দীর্ঘ দিন থেকে নানা কর্মসূচি পালন করছেন সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।