
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক এহতেসাম উল হক ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক পদে জুলফিকার হায়দারের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষা ভবন ঘেরাও করেছে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের নেতাকর্মীরা। তারা মাউশির পরিচালক প্রফেসর একিউএম শফিউল আজমেরও পদত্যাগ দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অধিদপ্তরের মূল ভবনের সামনে শতাধিক শিক্ষক কর্মচারী বিক্ষোভ মিছিল করেন। এরপর তারা ঘেরাও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগি নতুন পদায়ন পাওয়া দুই ডিজিকে সরিয়ে দিতে হবে। নইলে ১২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা ভবনে সারাদেশ থেকে শিক্ষকরা অবস্থান নেবেন। সেদিন ডিজিকে মাউশিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ধানমন্ডি ৩২ এর ন্যায় মাউশি থেকেও শিক্ষকরা ইট খুলে নিয়ে যেতে পারেন সেদিন।
শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক বদরূল ইসলাম, সাংবাদিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ আলীবদ্দীন ও যুগ্মমহাসচিব আব্দুল হাকিমসহ অন্যরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, মাউশির নতুন ডিজি বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি আওয়ামী আমলে ছিলেন সুবিধাভোগি। তাই তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের নেতারা।