তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা কমেছে শৈত্যপ্রবাহ। সেই সঙ্গে কমেছে কুয়াশাও। তবে এরই মধ্যে খুলনা বিভাগ ও ফরিদপুর অঞ্চলের দুই-এক জায়গায় আজ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া বুধবার খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হলো ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও একই।
মঙ্গলবার রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়েছে। তাপমাত্রার পরিমাণ ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহের বড় কোনো পূবার্ভাস নেই। আজ ও আগামীকাল তাপমাত্রা বাড়বে। তবে সামান্য দু-এক জায়গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে। ধীরে ধীরে এটিও কেটে যাবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
এদিকে মৌসুমের শেষভাগে শীতে দারুণ কষ্টে ছিলেন উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ এবং দক্ষিণের কিছু এলাকার মানুষ। শৈত্যপ্রবাহের কারণে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুর, পঞ্চগড়, হবিগঞ্জ এবং বরিশালে শৈত্যপ্রবাহ ছিল। এসব এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রির নিচে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা দারুণভাবে ব্যাহত করে।
এসএন