বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০৯টি শহরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থান চতুর্থ। ২১ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে ঢাকার বায়ুদূষণের ছিল এই অবস্থান। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স—একিউআই) এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ১৭৪। বাতাসের এ মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর আগে ২০ অক্টোবরে বায়ুদূষণে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার স্কোর ছিল ১৬১।
২১ অক্টোবর সকাল আটটার দিকে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল যথাক্রমে পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি। শহরটির দুটির স্কোর যথাক্রমে ৩০৩ ও ২৫৮। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের স্কোর ১৭৭।
বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
আইকিউএয়ারের বায়ু নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে ঢাকাবাসীর জন্য পরামর্শ, বাইরে বের হলে মাস্ক পরুন। মাস্ক দূষণ থেকে আপনাকে অনেকটাই সুরক্ষা দিতে পারে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে আছে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তি। তাঁদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়।
৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়। ঢাকায় গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারির মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
