বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ দমনের সময় ৬৫ জনেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার (ইউনিসেফ) সর্বশেষ যাচাইকৃত পরিসংখ্যানের মাধ্যমে ৬৫ শিশু নিহতের বিষয়টি ওঠে এসেছে। বিষয়টি জানিয়েছেন শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি নাজাত মাল্লা মজিদ।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে মাল্লা মজিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ ও শিশুরা দেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভের অগ্রভাগে ছিল। তারা অনেক কিছু অর্জন করেছে, কিন্তু তারা একটি বিশাল মূল্যও দিয়েছে। ইউনিসেফের সর্বশেষ যাচাইকৃত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে দমন-পীড়নের সময় ৬৫ জনের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। আমি জাতিসংঘের মহাসচিব এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কাছে সহিংসতার সমস্ত কর্মকাণ্ডের একটি পূর্ণ, স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষ করে সহিংসতা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং আটকের শিকার শিশু এবং যুবকদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিতে চাই।’
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষকে প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক কর্মসূচি সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করতে উৎসাহিত করেছেন, যাতে সেগুলো সব শিশুর কাছে সহজলভ্য হয়। এ ছাড়া একটি শিশুবান্ধব বিচার ব্যবস্থার সমালোচনামূলক গুরুত্বের কথাও স্মরণ করেছেন তিনি, যার মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্বাধীন আদালত রয়েছে। মজিদ বলেন, ‘আমি স্বাগত জানাই যে শিশুদের মুক্তি শুরু হয়েছে, এবং দ্রুত সমস্ত শিশুদের মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এই শিশু এবং তাদের পরিবারগুলোর মঙ্গল এবং ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য আইনি সহায়তা, মনোসামাজিক যত্ন এবং পুনর্মিলন পরিষেবাসহ উপযুক্ত সহায়তা পাওয়া অপরিহার্য।’
বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি যুব ও শিশুদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যুবক ও শিশুরা সংগ্রামের অগ্রভাগে ছিল এবং পরিবর্তনের অগ্রভাগে তাদের থাকা দরকার। অন্তর্বর্তী সরকারে তাদের উপদেষ্টার ভূমিকা নিশ্চিত করার জন্য গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো আমি স্বীকার করছি।’