শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

| ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো কেন?

রিসালাত আলিফ

প্রকাশিত: ১১:৪২, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো কেন?

ছোটবেলা হতে আমাদের সবারই স্বপ্ন থাকে ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা মেডিকেল নিয়ে পড়া। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার সময়টিতেই আমরা অনেকে পরিচিত হই দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে। আর এই কৃষি নিয়ে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে যে দ্বিধা কাজ করে সেটি হলো, ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ায় কি আর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ে ভবিষ্যৎই বা কী?’ এসব প্রশ্নের উত্তর এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদের বিবরণ, ক্যারিয়ারচাকরি নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রিসালাত আলিফ

কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশ। আর এই কৃষিপ্রধান দেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে মোট ৯টি। এগুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়তে সুযোগ পাচ্ছেন। আসছে ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেই কৃষি গুচ্ছর ভর্তিযুদ্ধ। কৃষিশিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) রয়েছে ছয়টি অনুষদ। আগ্রহের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ভেটেরিনারি ও কৃষি অনুষদ। এরপর পশুপালন, মাৎস্যবিজ্ঞান, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ।

ভেটেরিনারি অনুষদ :
প্রাণিসেবার উদ্দেশ্যেই ১৯৬১ সালে সর্বপ্রথম বাকৃবিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ভেটেরিনারি অনুষদ। প্রাণি চিকিৎসকরা বিভিন্ন গবেষণা, বিভিন্ন প্রাণীর নতুন জাত উদ্ভাবন ও জাত উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি যেমন- দুগ্ধ উৎপাদন, ডিম উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এই ভেটেরিনারি অনুষদে রয়েছে আটটি বিভাগ। সেগুলো হলো অ্যানাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগ, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগ, ফিজিওলজি বিভাগ, ফার্মাকোলজি বিভাগ, প্যারাসাইটোলজি বিভাগ, প্যাথলজি বিভাগ, মেডিসিন বিভাগ এবং সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগ। পাঁচ বছরের কোর্সটিতে ইন্টার্নি করতে হয় ৬ মাস।

ক্যারিয়ার: পশুপ্রাণী চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে ডিগ্রি অর্জনের পর বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ ও নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করতে হয়। বিসিএসে ভেটেরিনারি ছাত্রদের জন্য রয়েছে বিশেষ কোটা। বিসিএস পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারলে সরকারিভাবে ভেটেরিনারি সার্জন ও উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে চাকরির সুযোগ রয়েছে। সেনাবাহিনীতে ভেটেরিনারিয়ানদের জন্য স্বতন্ত্র ‘কোর’ আরভিএন্ডএফ কোর (রিমাউন্ট ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফার্ম কোর), তাছাড়া পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীতে সরাসরি অফিসার পদে নির্দিষ্ট সংখ্যক পদ রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন- আইসিডিডিআরবি, বিএলআরআই প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সুযোগ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন- খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), জাতিসংঘ জরুরি শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এই সংস্থাগুলোতে বিভিন্ন ক্যারিয়ারের সুযোগও রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পশু হাসপাতাল, ব্যক্তিগত ক্লিনিক, ফার্ম, হ্যাচারি, চিড়িয়াখানা, সাফারিপার্ক, সুন্দরবনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের চাকরি, ভেটেরিনারি ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানি, ফিড কোম্পানি, ওয়াইল্ড লাইফ এজেন্সিজ, গবেষণাগার, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুব্যবস্থা।

কৃষি অনুষদ:
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কৃষি অনুষদের অধীনে কৃষিতে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি দেওয়া হয়। এ অনুষদে রয়েছে ১৬টি বিভাগ। এখানে কৃষিতত্ত্ব, কীটতত্ত্ব, উদ্যানতত্ত্ব, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন, ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান, কৃষিরসায়ন, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান, মৃত্তিকাবিজ্ঞান, ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট, বায়োটেকনোলজি, পরিবেশ বিজ্ঞান, কৃষি সম্প্রসারণ, সিড সায়েন্স ও টেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়।
ক্যারিয়ার: কৃষি অনুষদ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বিসিএসের মাধ্যমে উপজেলাগুলোতে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হয়ে যোগ দেন। এই কৃষিবিদদের খুবই পছন্দের জায়গা হলো সরকারি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৃত্তিকা গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে অনেকেই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হয়ে যোগ দিচ্ছেন। এ ছাড়া অনেক কৃষিবিদ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলেও কৃষিবিদরা কাজ করছেন। এ ছাড়া সার কারখানা, চিনিকল, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, কীটনাশক তৈরির কারখানা, ব্র্যাক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতেও কাজ করছেন। ব্র্যাক, বিভিন্ন ফিড মিল, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরির সুযোগ থাকছে।

পশুপালন অনুষদ:
অনেকেরই ধারণা, পশুপালন অনুষদীয় শিক্ষা কার্যক্রম শুধু পশুর লালন-পালন সম্পর্কিত। কিন্তু না, পশুর প্রজনন,খাদ্য,কৌলিন তত্ত্ব ও পশুর বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে পশুপালন অনুষদীয় শিক্ষা কার্যক্রম। এই অনুষদীয় শিক্ষা কার্যক্রম ৫টি বিভাগের (পশু বিজ্ঞান, ডেইরি বিজ্ঞান, পোল্ট্রি বিজ্ঞান, পশু-পুষ্টি বিজ্ঞান, পশু প্রজনন ও কৌলিন তত্ত্ব) অধীনে পরিচালিত হয়। সাড়ে চার বছরের কোর্সটিতে ইন্টার্নি করতে হয় ৬ মাস।
ক্যারিয়ার: বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে পশুপালন অনুষদ হতে গ্র্যাজুয়েটদের জন্য রয়েছে বিশেষ কোটা। তাছাড়া সায়ত্ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে আছে মিল্ক ভিটা, বাংলাদেশ প্রাণী সম্পদ গবেষনা কেন্দ্র (বিএলআরআই) এবং বিভিন্ন পশু-প্রজনন কেন্দ্র। পোল্ট্রি, ডেইরি,ও বিভিন্ন প্রজনন খামারগুলোতে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় পশুপালন থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের। গবাদি পশু ও পোল্ট্রি ফার্ম ও খাদ্য উৎপাদনকারী এবং ডেইরি পণ্য উৎপাদনকারী (দুধ, দই, মিষ্টি, বরফ, ঘি, মাখন, পনির ইত্যাদি) কোম্পানি গুলোতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এনজিওতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যেমন- ব্র্যাক, সিএলপি ইত্যাদি। দেশের বিভিন্ন ফিড মিল, হ্যাচারিতে আকর্ষণীয় বেতনে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে, যেমন কাজী ফার্মস, নারিশ, আফতাব ইত্যাদি। তাছাড়া সেনাবাহিনীতে আরভিএন্ডএফ কোর (রিমাউন্ট ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফার্ম কোর), পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীতে সরাসরি অফিসার পদেও রয়েছে যোগ দেওয়ার সুযোগ।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ:
আমিষের চাহিদা পূরণ ও উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে মাৎস্য সেক্টরকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে রয়েছে পাঁচটি বিভাগ। ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস বিভাগ, অ্যাকুয়াকালচার বিভাগ, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগ ও মেরিন ফিশারিজ সায়েন্স বিভাগ।
ক্যারিয়ার: মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় বিশেষ কোটায় দেশের উপজেলাগুলোতে মৎস্য কর্মকর্তা এবং মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হয়ে যোগ দিতে পারেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে ময়মনসিংহে স্বাদু পানি কেন্দ্র, চাঁদপুরের নদী কেন্দ্র, খুলনার লোনা পানি কেন্দ্র, বাগেরহাটের চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র এবং কক্সবাজারে অবস্থিত সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হয়েছে যোগ দিতে পারবে। এ ছাড়া এর পাঁচটি উপকেন্দ্রে এই সুযোগ থাকছে। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ সেন্টারে চাকরির সুযোগ তো থাকছেই। দেশের রপ্তানীতে বিশাল ভুমিকা রাখে চিংড়ি । চিংড়ি হ্যাচারি,ফার্ম এবং প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছে কাজের সুযোগ। এ ছাড়া অনেকেই কৃষিবিদ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট, পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে চাকরি করতে পারবে। বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান পল্লী কর্মসহায়ক প্রতিষ্ঠান, প্রশিকা, আশা ও ব্র্যাকে রয়েছে অনেক চাকরিজীবী। সাগরের ৯৫% এখনো অনাবিষ্কৃত থাকায় রিসার্চ সেক্টরেও রয়েছে বিশাল সুযোগ।

কৃষি প্রকৌশলপ্রযুক্তি অনুষদ :
কৃষিকে আধুনিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৪ সালে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পাঁচটি বিভাগের সমন্বয়ে এই অনুষদ গঠিত। বিভাগগুলো হলো ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগ, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগ এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিকস বিভাগ। তবে এই অনুষদ থেকে ডিগ্রি দেওয়া হয় দুটি, বিএসসি এগ্রি. ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিএসসি ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং।

ক্যারিয়ার: কৃষি প্রযুক্তিকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে উত্তীর্ণ গ্র্যাজুয়েটরা দেশের বিভিন্ন কৃষি সেক্টরগুলোতে তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছে। এই অনুষদ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের রয়েছে বিসিএস এ বিশেষ কোটা। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বারি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিরি), বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি, ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার এক্সটেনশন (ডিএই), পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ)। এছাড়া জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং, মাহবুব ইঞ্জিনিয়ারিং, এসিআই, সিনজেনটা, কাজী ফার্মসসহ সকল কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ থাকছে। অন্যদিকে সরকারী ও বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি এবং ভাল রেজাল্টধারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ তো থাকছেই। সিজিপিএ ভালো থাকলেই খুব সহজেই ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কলারশিপসহ পড়াশোনা ও স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগও রয়েছে।

কৃষি অর্থনীতিগ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ :
কৃষি অর্থনীতি একটি সম্পূর্ণ প্রায়োগিক অর্থনৈতিক বিজ্ঞান। এটি মূলত ফসল, গৃহপালিত পশু ও মৎস্য উৎপাদন এবং উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠ বিপণনের ক্ষেত্রে অর্থনীতির বিভিন্ন নীতি প্রয়োগ করে। এ অনুষদে পাঁচটি বিভাগ রয়েছে, এগুলো হলো - কৃষি অর্থনীতি বিভাগ, কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগ, কৃষি ও ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগ, কৃষিব্যবসা ও বিপণন বিভাগ এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।

ক্যারিয়ার: কৃষি অর্থনীতি গ্র্যাজুয়েটরা দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, পরামর্শদানকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক, এগ্রিবিজনেস ফার্ম, বহুজাতিক কোম্পানি ইত্যাদিতে সাফল্যের সাথে শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠিত রয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছে যোগ দানের সুযোগ। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনষ্টিটিউট, আন্তর্জাতিক ফসল গবেষণা ইন্সটিটিউট, আন্তর্জাতিক গম ও ভুট্টা উন্নয়ন কেন্দ্রে কৃষি অর্থনীতি গ্র্যাজুয়েটরা চাকরি করতে পারেন। তাছাড়া বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডেও রয়েছে এ অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির সুযোগ।

পরিশেষে, বুক ভরা আত্মবিশ্বাস ও সাহস নিয়ে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় তোমরা অংশগ্রহণ করবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ক্যারিয়ার গড়ে নিজের স্বপ্নকে নিয়ে যাও অন্যন্য উচ্চতায়। সকল ভর্তিযোদ্ধাদের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা এবং ভালোবাসা।