চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেছে বিষয়টি নিয়ে সরকারের গঠিত কমিটি। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তারা। তবে বয়স কত বছর বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কিছু জানান নি।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কমিটির সদস্য সদ্য জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা হবে। সেখানে বয়স বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে
অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করতে কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে আহবায়ক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে সাধারণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের ৩২ বছর। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কমিটি। তবে কত বছর বাড়ানো হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
সূত্র জানায়, বয়স বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যারা বয়স বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও বসেছিল কমিটি। পরে কমিটির আহবায়ক আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছিলেন, সবকিছু চিন্তা করে তারা সিদ্ধান্ত দেবেন। তবে বয়স বৃদ্ধির যৌক্তিকতা আছে। সেশনজট, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে বয়স বাড়ানো উচিত বলে মত তার।