রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

| ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

২০২৩: নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বছরজুড়ে বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:১৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

২০২৩: নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বছরজুড়ে বিতর্ক

ফাইল ছবি

আলোচিত ২০২৩ সাল বিদায়ের পথে। কদিন বাদেই নতুন বছর আসছে। চলতি বছর দেশের শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন, জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন, নতুন বই ছাপানো নিয়ে শঙ্কা, বেসরকারি শিক্ষকদের আন্দোলন ছিল আলোচিত ঘটনা। সব শেষ প্রথম ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনাও দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে রয়েছে নতুন কারিকুলাম। নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করায় গ্রেফতারও হয়েছেন কয়েকজন শিক্ষক-অভিভাবক।

সরকার চলতি বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে। ২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।

শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষক-অভিভাবকদের সমালোচনা শুরু হয়। বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। কারিকুলাম নিয়ে সমালোচনা করায় কয়েকজন শিক্ষক-অভিভাবককে গ্রেফতারও করে সরকার। তবে নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা ও মুখস্থনির্ভরতার পরিবর্তে অভিজ্ঞতানির্ভর পড়াশোনায় জোর দেওয়া হয়েছে বলে সরকারের।

সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে বদলে গেছে চিরাচরিত পড়াশোনার পদ্ধতিও। শিক্ষাক্রমের এমন আমূল পরিবর্তন নিয়ে এক পক্ষ বলছে, নতুন শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী। একজন শিক্ষার্থীকে দক্ষ, যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এটি সহায়ক। অন্য পক্ষ শিক্ষাক্রমের কড়া সমালোচনা করে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে।

এমনকি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন অভিভাবকরা। ফেসবুক গ্রুপ থেকে গড়ে ওঠা ‘সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন’ নামের সংগঠন এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়। তবে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পক্ষ থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করা হয়। এতে এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা বর্তমানে কারাগারে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী। তবে বর্তমান বাস্তবতায় তা বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাযথ প্রস্তুতির অভাব, শিক্ষার্থীর চাপ, দক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষা-সহায়ক উপকরণের সংকট, মানসম্মত প্রশিক্ষণ ও প্রথাগত মনোভাব।

শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও এনসিটিবি কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরের মধ্যেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শেষ করা হবে। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে যে ধরনের ক্লাসরুম, শিক্ষক, শিক্ষা উপকরণ প্রয়োজন তা সরকার দেবে। আগামীতে শিক্ষা হবে দেশের সবচেয়ে বড় মেগাপ্রকল্প।