ছবিতে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বেশ কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রোজারারের পদত্যাগের পর কার্যত অভিভাবকশূন্য হয়েছে এসব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই ওবস্থা থেকে উত্তরণে বিশ্ববিদ্যালগুলোতে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু করতে দ্রুত পদায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে এসে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। শুক্রবার (১৭ আগস্ট) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ৪০টির মতো বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকশূন্য। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেগুলো চালু করতে হবে। এটা একটা সুযোগ বলেও আমি মনে করবো। আমরা চাইবো সত্যিকার শিক্ষানুরাগী, যোগ্য এবং প্রশাসনিক দক্ষতার যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগের। আমরা চেষ্টা করবো, তবে নতুন করে শুরু করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তারপরও বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অতিদ্রুত পদায়নের চেষ্টা করবো যাতে অতি দ্রুত কার্যক্রম চালু হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক এটাও চ্যালেঞ্জিং। দলীয়করণ, রাজনীতিকরণ সব সময় খারাপ না কিন্তু যে ধরনের রাজনীতিকরণ এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে ছাত্র-শিক্ষকের শুধু দলীয়করণ না, তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা ভালো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের পরিবেশ থাকে, আমরা যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করি। একটা ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্যদেশে যেভাবে চলে সে রকম একটা পরিবেশ তৈরি করতে পারি। সেজন্য সবার সহযোগিতার দরকার হবে।
পাবিলক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছে না, অনেক মেধাবী বাইরে চলে যাচ্ছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে মানসম্মত শিক্ষা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এসএসসি পাস না
শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, আমাদের বেসরকারি স্কুল-কলেজের যে পরিচালনা বোর্ড বা ম্যানেজিং কমিটি আছে, এই বোর্ডগুলো প্রচণ্ড দলীকরণ হয়েছে। বোর্ডগুলো সভাপতি নিজেই এসএসসি পাস না। কাজেই এটা নিয়ে কী করা যায়। এখানেও দখলদারির বিষয় আছে। আমরা চাই এই কমিটিগুলো ভালো মানুষ দিয়ে তৈরি করতে। এখন যদি করা নাও যায় তাহলে আমরা বিকল্প কী করা যায় সেটা চিন্তা করছি।