শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

| ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

শিখনকালিন মূল্যায়নে ৩০ শতাংশ, পরীক্ষা হবে ৭০ শতাংশ

ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে হবে তিন ঘণ্টার বার্ষিক পরীক্ষা 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে হবে তিন ঘণ্টার বার্ষিক পরীক্ষা 

মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিন ঘণ্টার বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। চলতি বছর থেকেই এ পরীক্ষায় বসতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। এতে ৭০ নম্বরের প্রশ্নপত্র থাকবে। বাকি ৩০ নম্বর দেওয়া হবে শিক্ষার্থীর শিখনকালীন মূল্যায়নের ভিত্তিতে। এই ফল আগের মতো গ্রেডিং প্রদ্ধতিতেই প্রকাশ করা হবে। তিন বা ততোধিক বিষয়ে কোনো শিক্ষার্থী ডি গ্রেড পেলে সে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। 

১১ সেপ্টেম্বর, বুধবার ২০২৪ সালের শিখনকালীন মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশিকা জারি করেছে এনসিটিবি। একইসঙ্গে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামো বা নমুনা প্রশ্ন প্রকাশ করা হয়েছে। 

এনসিটিবি জানিয়েছে, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা দুটি ভাগে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম এবং নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ এর আলোকে প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে। 

এক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রমের মোট নম্বর হবে ১০০। এর মধ্যে শিখনকালীন মূল্যায়নের গুরুত্ব হবে ৩০ শতাংশ এবং পরীক্ষার গুরত্ব হবে ৭০ শতাংশ। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক জিপি বা গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। 

শ্রেণি উত্তরণের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ফলাফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের মোট নম্বর হবে ১০০। এই ১০০ নম্বরের মধ্যে ধারাবাহিক বা শিখনকালীন মূল্যায়নের গুরুত্ব হবে ৩০ শতাংশ এবং লিখিত বার্ষিক পরীক্ষার গুরুত্ব হবে ৭০ শতাংশ। যেহেতু প্রত্যেক বিষয়ে ধারাবাহিক বা শিখনকালীন মূল্যায়নের জন্য বরাদ্দকৃত মোট নম্বর ৩০ এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দকৃত মোট নম্বর ১০০, সেহেতু একজন শিক্ষার্থীর একটি বিষয়ের বার্ষিক ফলাফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে ঐ বিষয়ের ধারাবাহিক বা শিখনকালীন মূল্যায়নে তার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে লিখিত বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৭০ শতাংশ যোগ করে ওই বিষয়ের বার্ষিক ফলাফল বা গ্রেড নির্ণয় করতে হবে।

এছাড়াও মূল্যায়নে আগের মতো ৮০ থেকে ১০০ নম্বর পেলে এ প্লাস বা ৫ পয়েন্ট, ৭০ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে এ গ্রেড বা ৪ পয়েন্ট, ৬০ থেকে ৬৯ নম্বর পেলে এ মাইনাস বা ৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট, ৫০ থেকে ৫৯ পেলে বি গ্রেড বা ৩ পয়েন্ট, ৪০ থেকে ৪৯ পেলে সি গ্রেড বা ২ পয়েন্ট, ৩৩ থেকে ৩৯ পেলে ডি গ্রেড বা ১ পয়েন্ট ও ০০ থেকে ৩২ পেলে এফ গ্রেড বা ০ পয়েন্ট পাবেন শিক্ষার্থীরা। 

একটি বিষয়ে সর্বনিম্ন ডি গ্রেড পেলে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ বলে বিবেচনা করা হবে। ৩ বা ততোধিক বিষয়ে কোনো শিক্ষার্থী ডি গ্রেড পেলে সে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। তবে বিষয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিশেষ বিবেচনায় তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের সুযোগ দিতে পারেন। বিশেষ বিবেচনার বিষয়টি শুধু ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য হবে।