মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

| ১ আশ্বিন ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

ফারাক্কার গেট উন্মুক্ত, বন্যার পূর্বাভাসে যা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৩১, ২৭ আগস্ট ২০২৪

ফারাক্কার গেট উন্মুক্ত, বন্যার পূর্বাভাসে যা জানা গেল

ফারাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এরপরও বাংলাদেশের নদ-নদীতে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তথ্য অনুযায়ী, গঙ্গা নদীর বাংলাদেশ অংশে ৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এই বৃদ্ধিতে শঙ্কার কোনো কারণ নেই।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান এসব কথা বলেন। ভারতের বিহারের গঙ্গায় পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি গেটের সব কটি খুলে দেওয়া হয় সোমবার।

উদয় রায়হান জানান, ফারাক্কা ব্যারাজে পানির স্তর বিপৎসীমা (৭২ ফুট) ছাড়িয়েছে। সোমবার সেখানে পানির উচ্চতা ৭৬ ফুট ছিল। তবে ফারাক্কার গেট খোলার জন্য এখনই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বা আদৌ হবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। কারণ, নিয়ন্ত্রিতভাবে ১০৯টি গেট থেকে পানি ছাড়া হচ্ছে।

ফারাক্কার সব কটি গেট খুলে দেওয়ার পর বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা স্থানে শঙ্কা ছড়ায়। তবে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সোমবার জানায়, এ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের উজানে গঙ্গা নদীর পানি সমতল ভারতের বিভিন্ন পয়েন্টে বর্তমানে স্থির পর্যায়ে আছে। বাংলাদেশেও পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার গড়ে দেড় থেকে দুই মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আগামী চার থেকে পাঁচ দিনে বাংলাদেশে স্থিতিশীলভাবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ মুহূর্তে পদ্মার অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মইনামুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফারাক্কার সব কটি গেট খুলে দেওয়ায় আমাদের এখানে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই। এটা প্রতিবারই করা হয়।’

সব কটি গেট আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকবে জানিয়ে ইনামুল হক বলেন, এর পর চার থেকে পাঁচটি গেট খোলা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

 

#এসএন