ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মাহিন উদ্দিন বোরহানের ক্রয়কৃত গুদাম জোরপূর্বক দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. মোমিনুর রহমার মমিনের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের সম্পদ পুনরুদ্ধার ও বিচারের দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী।
মাহিনের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নে।
মাহিন বলেন, ‘দলের প্রভাব খাটিয়ে আমাদের দুটি গোডাউন জমিসহ দখল করে নেয় যুবদল নেতা মমিন। তিনি যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সহায়তায় ২০১৯ সালে বিক্রি করা জমি গোডাউনসহ দখল করেন। মমিন ও তার ভাই মিলন ২০১৯ সালে আমার দুই চাচা আব্দুল ওয়াহাব ও আবু রায়হানের কাছে জমি বিক্রি করেন। বিগত ৫ বছর ধরে আমার দুই চাচা সেই জমিতে গোডাউন ঘর উঠিয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল রেখে আসছিলো।’
এই শিক্ষার্থীর দাবি, মমিন বিভিন্ন সময়ে বিক্রিত জমির উপর চাঁদা দাবি করতো। সর্বশেষ, বিক্রিত জমির উপর ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে, টাকা না পেয়ে গত ২৯ নভেম্বর দেশীয় লাঠি, রামদা, হকিস্টিক সহকারে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে গোডাইনে রক্ষিত মালামাল লুটপাট করে এবং গোডাইন ঘর দখলে নিয়ে নেয়। এসময় আমার এক বোনকে রামদার কোপে মাথায় জখম করে।
মাহিন বলেন, ‘হামলার নেতৃত্ব মমিন নিজেই দেয়। লোকবল যোগান দেয়, কাপাসিয়া ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী জিয়া, চন্ডিপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন, যুবদল কর্মী সোহেল, ৭ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা ফয়যার। দিবালোকের এ ঘটনায়, হামলা এবং দখলের সমস্ত ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।’
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে মমিনের পরিবার। মামলা নাম্বার জিআর ৩২০/২০২৪। গত ২২ ডিসেম্বর মমিন জামিন নিতে আদালতে গেলে, আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠায়।
মাহিন বলেন, ‘আমরা জেনেছি, দখল করা গোডাউনে মমিন ইউনিয়ন যুবদল অফিস দেয়ার পায়তারা করছে এবং পাশের জমিতে আমাদের মাদ্রাসা ও এতিমখানা দখলের পায়তারা করছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব কাজে ইন্ধন দিচ্ছে মমিন, জিয়া এবং ৭ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা ফয়জার।’
তিনি বলেন, ‘দিবালোকের মতো পরিষ্কার সব কিছুর ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। গোডাউনের সমস্ত দলিল, ডকুমেন্টস রয়েছে।’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘মমিন জেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিনিয়ত আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিল- হাত, পা কেটে দিবে। জানি না জেল থেকে বেরিয়ে কি করবে। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অন্যের করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে যেখানে কেন্দ্র হতে বিএনপির শক্ত অবস্থান। সেখানে স্থানীয় এসব নেতার দাপটে আমার পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি গুদাম দুটি ফিরিয়ে দেয়া এবং মমিনের বিরদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বিএনপি নেতাদের কাছে।