
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে জাতীয়করণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। এ দাবিতে আগামী ১২ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করবেন তারা। এছাড়া আগামী ১৬ মার্চ সারাদেশে মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারক লিপি দেবেন। এরপরেও জাতীয়করণ দাবি মেনে নেওয়া না হলে তবে ঈদুল ফিতরের পরে কঠোর কর্মসূচি দেবেন শিক্ষক-কমচারীরা।
৮ মার্চ, শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম আল মামুন জুয়েল এতে সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মোঃ বজলুর রহমান মিয়া, উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য আলহাজ¦ আলী আহামেদ, অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম, সহ সভাপতি বেগম নূরুন্নাহার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিও ভূক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। পরিতাপের বিষয় এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ মাত্র ১,০০০/- টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫% উৎসব ভাতা এবং ৫০০/- টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। এছাড়াও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয় এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারি প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারি প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরিকরণের লক্ষ্যে ১০ দফা দাবিসহ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্টকরণসহ শিক্ষাক্ষেত্রে সকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরিকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা; আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ী ভাড়া ও চিকিসা ভাতা প্রদান করা; সরকারি স্কুলের ন্যায় বেসরকারি স্কুলের ‘প্রধান শিক্ষক’ এর বেতন স্কেল ৬ষ্ঠ গ্রেডে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭ম গ্রেডসহ টাইম স্কেল প্রদান করাসহ বিভিন্ন দাবি রয়েছে।