সুবাস চন্দ্র রায়
নতুন কারিকুলাম বুঝতে হলে শিখন অভিজ্ঞতার চক্রের স্তর সমূহের সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। এই স্তরগুলো হচ্ছে-
১। বাস্তব অভিজ্ঞতাঃ
যে বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করানো হবে সে বিষয়ে শিক্ষক একটি বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাবেন। এটি হতে পারে শিক্ষার্থীর নিজের অর্জিত বাস্তব অভিজ্ঞতা,প্রেক্ষাপট নির্ভরতার বা চারপাশের প্রত্যক্ষ ঘটনাবলি।
২। প্রতিফলন মূলক পর্যবেক্ষণঃ
শিক্ষার্থীকে কিছু সময়ের জন্য অর্জিত অভিজ্ঞতার বিষয়টি নিয়ে ভাবার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল জোড়ায় বা দলে অনুশীলন করবে।
৩। বিমূর্ত ধারণায়নঃ
এ পর্যায়ে শিক্ষক প্রয়োজনীয় তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে এবং সহায়ক উপকরণের সাহায্যে শিক্ষার্থীর ভাবনাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিবেন। বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রতিফলনমূলক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার সাথে বইয়ের তাত্ত্বিক জ্ঞানের সাথে সমন্বয় ঘটাবে।
৪। সক্রিয় পরীক্ষণঃ
অভিজ্ঞতা ভিত্তিক শিখন প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপে শিক্ষক বাস্তব কাজের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীর শিখনকে প্রয়োগ করার সুযোগ তৈরি করে দিবেন।অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের ফলে সঠিক মূল্যবোধের মাধ্যমে শিক্ষার্থী সক্রিয় অংশগ্রহণ করবে এবং নিজের জীবনে তার প্রতিফলন ঘটাবে।
লেখক- সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, রামগঞ্জ দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী ও মাস্টার ট্রেইনার (ইংরেজি), নিউ কারিকুলাম ডিসেমিনেশন।
এজেড
"এই বিভাগে প্রকাশিত মুক্তমতের সকল দায়ভার লেখকের নিজের। ক্যাম্পাস বাংলা কোনভাবেই এই বিভাগের লেখক কিংবা লেখার বিষয়বস্তুর দায়ভার নিচ্ছে না।"