মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

| ১ আশ্বিন ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

দীপু মনির রোষানলে পড়ে চাকরি হারিয়েছি : বিটিএ সাধারণ সম্পাদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দীপু মনির রোষানলে পড়ে চাকরি হারিয়েছি : বিটিএ সাধারণ সম্পাদক

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ দাবি এবং সারাদেশে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদে শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। এতে বক্তব্য প্রদানকালে বিটিএ সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেছেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির রোষানলে পড়ে তাকে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। হাইকোর্টে এটি স্থগিত করা সত্বেও তাকে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে না দেওয়ার অভিযোগ আনেন তিনি।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গতবছরের জুলাইয়ে সারাদেশের লাখো শিক্ষক-কর্মচারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও অনশন করেছিল।

সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে শিক্ষক লাঞ্ছিত ও জোরপূর্বক পদত্যাগের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। পদত্যাগপত্র বাতিল করে শিক্ষকদের স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ সম্বলিত প্রজ্ঞাপন জারির দাবিও জানায় সংগঠনটি। এসব দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, সম্প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি মহল ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে।

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১ দফা জানায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)।

অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য এখন পাহাড়সম। এ বৈষম্য দূরীকরণের জন্য সমিতির ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন। বেসরকারি শিক্ষকেররা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অবসরে যাবার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা প্রাপ্তির পূর্বেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক।