জুলাই আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ, বীরত্বগাঁথা নিয়ে আগামী ২০২৫ সালের প্রকাশনা সামগ্রী তৈরী করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ৬ নভেম্বর, বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ঢাকাস্থ শাখা সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানবতার সঠিক পথপ্রদর্শন করে। ইসলামী সংস্কৃতি ও নীতির মাধ্যমে আমরা আমাদের চিন্তা ও নীতি-নৈতিকতায় আমূল পরিবর্তন আনতে পারব, যা সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যাবে। এটি আমাদের জাতির প্রকৃত মুক্তি ও সমৃদ্ধির পথে একমাত্র সঠিক দিশা। বর্তমান সমাজে প্রচলিত জাহেলিয়াতপূর্ণ চিন্তা ও মূল্যবোধ আমাদের জাতির অগ্রগতি ও মঙ্গলকে বাধাগ্রস্ত করছে। এসব ভুল ধারণার বিরুদ্ধে ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রতিস্থাপন অপরিহার্য।
শিবিরের আগামী বছরের প্রকাশনায় তুলে ধরা হয়েছে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাঁথা কাহিনী। তুলে ধরা হয়েছে শহীদদের পরিচয়ও।
কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন, ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঠিক অনুধাবন তরুণ ছাত্রদের মধ্যে গড়ে তোলার প্রয়াসে ছাত্রশিবির কাজ করে যাচ্ছে।
সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মূল স্পিরিট ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধারণ করে আসছে। জুলুম ও নির্যাতনের মূলোচ্ছেদ করে একটা বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করার লক্ষ্যেই ইসলামী ছাত্রশিবির গঠিত হয়, যা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মূল চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই এ বছর আমরা আমাদের প্রকাশনায় এই আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ ও সাহসী ভূমিকা বীরত্বগাথা গল্পগুলো স্থান দিয়েছি।
আগামী বছরের জন্য শিবিরের প্রকাশনার মধ্যে রয়েছে তিন পাতা ক্যালেন্ডার, এক পাতা বড়ো ক্যালেন্ডার, এক পাতা ছোটো ক্যালেন্ডার, ডেস্ক ক্যালেন্ডার, ইয়ার প্লানার, ইংরেজি বড়ো ডায়েরি, বাংলা বড় ডায়েরি, মাঝারি ডায়েরি ও পকেট ডায়েরি, ইসলাম ও সচেতনতামূলক বাণীসংবলিত স্টিকার ইত্যাদি।