ছবি: সংগৃহীত
দ্রুততম সময়ে ক্যাফেটেরিয়ার কাজ শেষ করা এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ফুড কোর্ট স্থাপন, ক্যাম্পাস ও ছাত্রী হলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি, দুই মাসের মধ্যে বেদখলে থাকা হল উদ্ধার কিংবা ভবন ভাড়া নিয়ে আবাসন ব্যবস্থা করাসহ এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে অন্তত ৩-৪টি হল নির্মাণের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
(৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ-সব দাবি জানান ছাত্রদলের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সুজন মোল্লা এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম। এ-র আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমের নিকট স্মারকলিপি জমা দেয় তাঁরা।
২১ দফা প্রস্তাবনার দাবিগুলো— ই-লাইব্রেরির আধুনিকায়ন ও একাডেমিক ওয়েবসাইট নির্মাণ, ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবরেশন, ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান ও শিক্ষার্থী কাউন্সিল গঠন, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগের দাবি জানানো হয়। দ্রুততম সময়ে ক্যাফেটেরিয়ার কাজ শেষ করা এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ফুড কোর্ট স্থাপন, ক্যাম্পাস ও ছাত্রী হলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি, সমবায় ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে আধুনিক টিএসসি নির্মাণ এবং ক্যাম্পাসে ব্রান্ডিংয়ে রায় সাহেব বাজার, বাংলাবাজার ও পাটুয়াটুলিতে তিনটি গেট স্থাপন করতে হবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু বরাদ্দ বৃদ্ধি, গণঅভ্যুত্থানে নিহত, আহত ও গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের স্মৃতি রক্ষায় স্মৃতিফলক নির্মাণ, প্রধান ফটকের ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা, দূরত্ব ও মেধার ভিত্তিতে ছাত্রী হলের সিট বরাদ্দ, মেডিক্যাল সেন্টারের উন্নয়ন, মশা নিধন ও ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার নিশ্চয়তা প্রদানের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের নেতারা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে দুটি প্রো-ভিসি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেয় ছাত্র সংগঠনটি।
নেতারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের তালিকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত সবার তালিকা ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করে তাদের নিয়োগ বাতিল এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।