রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

| ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

করোনার পর ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট শিক্ষকের ওপর নির্ভরশীল 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:১৫, ৩০ মার্চ ২০২৪

করোনার পর ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট শিক্ষকের ওপর নির্ভরশীল 

মহামারী করোনাভাইরাসের পর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিক্ষার ওপর। প্রাথমিকের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট শিক্ষকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর মাধ্যমিকের ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী শরণাপন্ন হয়েছেন প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে। ৩০ মার্চ, শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গণসাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বিদ্যালয় শিক্ষা : মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক ‘এডুকেশন ওয়াচ স্টাডি ২০২৩’ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক ও এডুকেশন ওয়াচের ফোকাল পয়েন্ট ড. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এডুকেশন ওয়াচের আহবায়ক ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী।

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও এডুকেশন ওয়াচের সদস্য সচিব রাশেদা কে. চৌধূরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের তিন চতুর্থাংশই প্রাইভেট টিউটরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এছাড়া ১৭ শতাংশ কোচিং সেন্টারের সহায়তা নিচ্ছে। প্রায় ৫৩ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী পিতা-মাতা বা পরিবারের অন্য কারও সহায়তা নিচ্ছে। শিক্ষায় নোট বা গাইডবই ব্যবহার বন্ধ করার কথা থাকলেও বাস্তবে প্রাথমিকের ৯২ দশমিক ৪ শতাংশ ও মাধ্যমিকের ৯৩ দশমিক ৯ শতাংশ গাইডবই ব্যবহার করছে। 

করোনা মহামারির সময়ে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ডিভাইসে নির্ভরশীল হয়ে পড়লেও প্রতিবেদনের তথ্য বলছে- প্রাথমিকের ৪১ দশমিক ১ শতাংশ ও মাধ্যমিকের ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। তবে সিংহভাগ শিক্ষার্থী এই ডিজিটাল ডিভাইস অন্য কাজে ব্যবহার করছে। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে- প্রাথমিকের ৭৬ দশমিক ২ শতাংশ ও মাধ্যমিকের ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখার কাজে এই ডিভাইস ব্যবহার করছে না।