শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

| ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী মিতুর মাসে আয় ৪০ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:০১, ৫ মে ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী মিতুর মাসে আয় ৪০ হাজার টাকা

শুনতে অবাক লাগলেও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ইংরেজি বিভাগের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম খান মিতু প্রতি মাসে আয় করছেন ৪০ হাজার টাকারও বেশি। 

করোনার সময় অবসর সময়কে কাজে লাগানোর চিন্তা থেকেই মিতুর উদ্যোক্তা হওয়ার যাত্রা শুরু। বিদেশি একজনের হাতে তৈরি কারুশিল্পের ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে, প্রায় শখের বশেই শুরু করেন নিজ হাতের সুঁই সুতার কারু-কাজ। 

আয় রোজগার হবে তেমন কোনো পরিকল্পনাই ছিল না প্রাথমিক পর্যায়ে। প্রথমে মিতু কাপড়ের উপর সুঁই সুতা দিয়ে ওয়েডিং কার্ড, কাবা শরিফ ও মদিনা শরিফ এর কিছু কাজ ছবি তুলে ফেইসবুকে দেন। সাথে সাথেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপর থেকেই যাত্রা শুরু। সেখান থেকেই অর্ডার আসতে শুরু করে। প্রথম অর্ডার থেকে আয় হয় ৭,৫০০ টাকা। যা মিতুকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার। 

মিতু বলেন, “তখন আমার মনে হয় আমি এখানে খুব ভাল করবো। আমার মা এবং আমার স্বামীও আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করে। তারপর আমার ব্যবসা উদ্যোগটির একটি নাম দেয়ার প্রয়োজন অনুভব করি এবং সুঁই সুতার সাথে মিলিয়ে নাম দেই ’হেন্ডিহেমস’।”

হেন্ডিহেমস নামে মিতুর ব্যাবসা উদ্যোগটি বর্তমানে অনলাইনে বেশ জনপ্রিয়। পাশাপাশি অফলাইনেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হেন্ডিহেমস। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও এখন বেশ জনপ্রিয় মরিয়ম খান মিতু। সহপাঠী ও শিক্ষকদের কাছ থেকেও অনেক কাজের অর্ডার পাচ্ছেন বলে জানান মিতু।

মিতু বলেন, “বসন্ত ও ভালবাসা দিবসে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উদ্যোক্তা মেলায় আমার পণ্যগুলি প্রদর্শন করার সুযোগ পাই। সেখান থেকেই সকলের দৃষ্টি কাড়ে এবং আমার বিশ্ববিদ্যালয়েও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে আমার প্রোডাক্ট।”

বর্তমানে হেন্ডিহেমসের অনেক ধরনের পণ্য রয়েছে। যেমন জামা, জিন্সপ্যান্ট, টিশার্ট, কাপড়ের ব্যাগ, পর্দা, বেডশিট ও কোশন কভারের উপর সুই সুতার কারুকাজ উল্লেখযোগ্য। এগুলোর মধ্যে টিশার্ট এখন বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া জুয়েলারি পণ্যের মধ্যে গলার লকেট, ফিঙ্গার রিং, হেয়ার ব্যান্ড উল্লেখযোগ্য। হেন্ডিহেমসের প্রতিটি পণ্যের মূল্য সর্বোচ্চ ৪০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

মিতু জানান, প্রথম দিকে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা আয় হলেও এখন তার ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়ে থাকে।
বর্তমানে মিতুর অধিনে ২ জন নারী কর্মী কাজ করছেন। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে কাজ করতে চান মিতু এবং দেশ সেরা একজন উদ্যোক্তা হতে চান। বিশেষ করে গ্রাম্য নারীদের জন্যে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চান তিনি। 

মিতু বলেন, “চিনের প্রতিষ্ঠান আইজিআইসি থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সেখানে একটি প্রতিযোগিতায় আমার পণ্য প্রদর্শিত হবে। সিলেক্টেড হলে আলিবাবা ডটকম ও যেডি ডটকম এর মত আন্তর্জাতিক ই-কমার্স সাইটে আমার পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ পাবো।”

এজেড