জুলাই বিপ্লব এর সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) শোকসভা, আলোর মিছিলের আয়োজন করা হয় শুক্রবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেইটে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সাংস্কৃতিক সংগঠন (এনএসইউএসএস)।
এনএসইউ শহীদ মিনার থেকে শোকযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপরই জাতীয় সংগীত ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এনএসইউ কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আবদুর রব খান। তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের সূত্র ধরে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে বিশাল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আন্দোলনের শুরু থেকে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, তাই স্বৈরাচার সরকার পতনের এই বিজয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় এনএসইউ শিক্ষার্থীদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সাথে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এই বিপ্লবের সকল শহীদকে।
আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মেহনাজ আশরাফি বলেন, ৫ আগস্ট সকালে আমাদের এনএসইউ ৮ নম্বর গেইটে জড়ো হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এখানে অনেক পুলিশ উপস্থিত থাকায় আমরা প্রায় ৩০০ জনের মতো ১ নম্বর গেইটে জড়ো হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এসময় আচমকা আমাদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় আমাদের ৩০-৪০ সহপাঠী আহত হয়। পরে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর আহতদের এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। যাদের আত্মত্যাগের জন্য আমরা দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে পেরেছি তাদের রুহের মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।
আরেকজন এনএসইউ শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, আগস্টের ১৯ তারিখে নর্দা এলাকায় আমাদের এনএসইউ স্টাফ আবির ভাই নিহত হয়েছেন। আমি তার ও এই আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
স্মৃতিচারণের পর আগুণের পরশমণি, মঙ্গল বারতাসহ আরো বেশকয়েকটি গান ও কবিতার মধ্য শিক্ষার্থীরা স্মরণ করেন তাদের হারানো সহযাত্রীদের। আলোক প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এনএসইউএসএস-এর ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মুশাররাত হোসেন।