ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসন, বর্বরতা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত স্বাক্ষরিত এ বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিন স্বাধীনতা লাভ করার পরেও ইসরায়েলি আগ্রাসনে অস্তিত্বের হমকিস্বরূপ। ৭৫ বছর আগে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্র স্থাপনের ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের উপর তাদেরই মাতৃভূমিতে অনিশ্চিত এক বিপর্যয় নেমে আসে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ভূখন্ড দখল করে যে নৃশংস হত্যাকান্ড চালাচ্ছে, তা ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ এবং নৃশংস সামরিক দখলদারিত্ব ও হত্যাকান্ড, যার অন্যতম মদদদাতা হিসেবে নির্লজ্জভাবে কাজ করে যাচ্ছে পশ্চিমা কিছু শক্তিশালী দেশ।
এই আগ্রাসন রাফায় মানবিক সংকট সৃষ্টিস্বরূপ খাদ্য, পানি এবং স্বাস্থ্য সেবার উপর সাধারন মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। প্রতিনিয়ত ইসরায়েল সেনাবাহিনীর বিমান হামলা, স্থল অভিযান এবং সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রনের ফলে রাফার সামরিক ও বেসামরিক লোকজন নিহত হচ্ছে এবং অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করছে। সেইসাথে ৮০ ভাগ ঘরবাড়িসহ অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে উপাচার্য বলেন, রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসন কেবল রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয় বরং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিচার করা প্রয়োজন। জাতিসংঘের বিচার আদালতের নির্দেশ মেনে ইসরায়েলকে অবশ্যই সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে।