মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

| ১ আশ্বিন ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির অনিয়মের শেষ নেই

ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ১৯ আগস্ট ২০২৪

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির অনিয়মের শেষ নেই

২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর এ বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু গত চার বছরেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের স্থান নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। সাবেক দুই এমপির দ্বন্দ্বে চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না ক্যাম্পাসের স্থায়ী স্থান। ভাড়া বাসাতেই চলছে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম। এর ওপর রয়েছে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেতের সীমাহীন নিয়োগ বাণিজ্য। যে কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। খবর প্রতিদিনের বাংলাদেশের।

অভিযোগ, যোগ দেওয়ার পর থেকেই স্থানীয় এক প্রভাবশালী সদস্য সাবেক সংসদ সদস্যসহ মন্ত্রণালয়ের কয়েক কর্মকর্তাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য গড়ে তুলেছেন সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট একদিকে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগ দিয়েছে, পাশাপাশি নিয়োগ বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এই নিয়োগ বাণিজ্যের ভাগ পেয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএসসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা। সর্বশেষ বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগেও হয়েছে নিয়োগ বাণিজ্য। মৌখিক পরীক্ষা ক্যাম্পাসের পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়। পরীক্ষার আগের দিন মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে দিনক্ষণ জানানোর ফলে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেক যোগ্য প্রার্থী। 

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ‘হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। ২০২১ সালের মার্চে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান সিলেটে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। ২০২২ সালে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এর ৫টি অনুষদে ১৮০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

শুরু থেকেই নিয়োগ বাণিজ্য

প্রথমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এডহক ভিত্তিতে কিছু পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পর কয়েকটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুই শতাধিক জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পছন্দের বাইরে থাকা প্রার্থীদের পরীক্ষার জন্য ডাকা হতো না। এ নিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এমন একজন হবিগঞ্জের বাসিন্দা এফ এম খন্দকার মায়া বলেন, ‘আমি সব নিয়ম মেনে দুটি নিয়োগে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আমাকে পরীক্ষার জন্য ডাকাই হয়নি। পরে দেখি, পরীক্ষার ফল হয়ে গেছে, মনোনীত প্রার্থী যোগদানও করে ফেলেছে।’ 

কবরী আক্তার নামে আরেকজন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টির দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তিনটি পদে আবেদন করেছি। কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসএমএস বা ই-মেইল কোনোটিই আসেনি। পরে শুনলাম নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে গেছে।’ তাদের মতো আরও কয়েকজন বলেন, ‘চাকরিপ্রত্যাশী হিসেবে আবেদন করার পর অন্তত পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু তা করা হয়নি।’

সঞ্জয় ভট্টাচার্য নামে আরেক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, ‘দুইবারে চারটি পরীক্ষায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনোবারই পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়নি। কেন ডাকা হয়নি, উপাচার্যকে সেই প্রশ্ন করেও কোনো সদুত্তর পাইনি।’ 

একই কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েক কর্মকর্তা। তারা বলেন, ‘আইনি জটিলতা থেকে পার পাওয়ার জন্যই মূলত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতো। কিন্তু কাউকে পরীক্ষার জন্য ডাকা হতো না। ভিসি ও সদ্য সাবেক এমপি আবু জাহির মিলে নিজেদের আত্মীয়স্বজন ও অনুসারীদের পাশাপাশি বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতেন।’ 

নিয়োগ দেওয়া হয়নি স্থায়ী রেজিস্ট্রার

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে রেজিস্ট্রার নিয়োগের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ভিসির ঘনিষ্ঠ এক ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দিয়ে সকল কার্যক্রম পালন করা হচ্ছে।

স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা চূড়ান্ত হয়নি

চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও সদরের শহরতলী ভাদৈ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় চলছে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এখনও প্রতিষ্ঠানটির জমি অধিগ্রহণ দূরের কথা; কোন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস করা হবেÑ তা-ই ঠিক করা হয়নি। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস কোন জায়গায় হবে, তা নিয়ে সদর আসনের সদ্য সাবেক এমপি আবু জহির ও হবিগঞ্জ-২ আসনের সদ্য সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ খানের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আব্দুল মজিদ খান চেয়েছিলেন হবিগঞ্জ জেলা সদরের কাছে বানিয়াচং উপজেলার নাগুড়া নামক স্থানে স্থায়ী ক্যাম্পাস করতে। আর আবু জাহির চেয়েছিলেন সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নে স্থায়ী ক্যাম্পাস করতে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি। 

তারা আরও বলেন, ‘নাগুড়ায় কৃষি ফার্মে ১০০ একরের বেশি খাসজমি ও হাজার হাজার একর কৃষি-অকৃষি জমি এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে। কিন্তু ভিসি আবু জহিরকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে এই জায়গা চূড়ান্ত করেননি। আবু জাহিরের পক্ষ না নিলে এতদিনে জমি অধিগ্রহণের পর স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজও শুরু হয়ে যেত।’

অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নেই পড়ালেখার পরিবেশ

হবিগঞ্জ শহরতলীর ভাদৈ এলাকায় ছোট একটি ভাড়া ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস। ছোট এই ভবনে নেই পড়াশোনার পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয়টির এক কর্মকর্তা বলেন, সাবেক এমপি আবু জাহিরের পছন্দের এক ব্যক্তির ভবনটি অপেক্ষাকৃত বেশি টাকায় ভাড়া করা হয়েছে। বাসা ভাড়ার চুক্তিটি ভিসি পোপন করে রেখেছেন। হবিগঞ্জে ক্যাম্পাসের জন্য ভবন ভাড়া করা হলেও ঢাকায় একটি ভবন ভাড়া করে লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন করে সরকারি অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। ঢাকার শ্যামলীর এ অফিসটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ভিসির শ্যালকপুত্র আনোয়ার হোসেন অভির মাধ্যমে এখানে হয়েছে নিয়োগ বাণিজ্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষার্থী বলেন, ছোট এই ভবনে আমাদের গাদাগাদি করে লেখাপড়া করানো হয়। এর মধ্যে নতুন শিক্ষাবর্ষে আরও শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। তখন পাঠদানের পরিবেশ আরও খারাপ হবে। 

ক্যাম্পাসে থাকেন না ভিসি, মিটিং হয় ঢাকায়

ভিসি নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করার কথা থাকলেও ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত অফিস করেন সিলেট ও ঢাকায়। হবিগঞ্জে অবস্থান করেন খুবই কম সময়। এমনকি নিয়মিত অফিসও করেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট ও অর্থ কমিটির সভাও হয় ঢাকায়। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, নীতিনির্ধারণী সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের কোনো নীতিনির্ধারণী কাঠামোতে হবিগঞ্জ তথা সিলেট বিভাগের কোনো শিক্ষাবিদকে রাখা হয়নি। ২০২২ সালে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির ও গাইবান্ধা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির সিন্ডিকেট সদস্য মনোনয়ন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ পরিষদ সিন্ডিকেট। কিন্তু সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি বিশ্ববিদ্যালয়টির তদারকি দূরের কথা, বেড়ানোর জন্যও কখনও হবিগঞ্জ আসেননি।

সর্বশেষ নিয়োগে ভাগাভাগির চিত্র 

সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদে ৩৩ জন, সহকারী প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী, সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা), প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সেকশন অফিসার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট, ল্যাব টেকনিশিয়ানসহ বিভিন্ন পদে ৮০ জন নিয়োগ দেওয়া হয়।

এই নিয়োগেও উপাচার্য তার পছন্দমতো প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে হবিগঞ্জের পরিবর্তে ঢাকায় নিয়োগ বোর্ড বসান চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি। পরীক্ষার এক দিন আগে পছন্দসই আবেদনকারীদের মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে পরীক্ষার দিনক্ষণ জানানো হয়। নিয়োগপ্রার্থীদের প্রবেশপত্র না দিয়ে পরীক্ষার আগ মুহূর্তে কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। 

এরপর ১৯ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকার ফার্মগেটের কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সিন্ডিকেট সভায় এসব পদে উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করেন উপাচার্য ড. আবদুল বাসেত। ফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির। সেই তালিকায় ছিলেন উপাচার্যের পছন্দের ১৫ জন, তৎকালীন এমপি আবু জাহিরের পছন্দের ৭ জন ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস অমিত বসুর কোটায় তার ভাই মানিক বসুসহ ৫ জন। অবশিষ্ট পদগুলোর অধিকাংশই বণ্টন করা হয় স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রাকালে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের অধিকাংশ ব্যক্তিও ভিসির এলাকা ময়মনসিংহের এবং সাবেক এমপি আবু জাহিরের পছন্দের লোক বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েক কর্মকর্তা। তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি ৭০ ভাগ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীই ময়মনসিংহের।’ তারা আরও বলেন, ‘ভিসির পছন্দের বাইরে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে।’

আগেও অনিয়ম করেছেন আবদুল বাসেত 

২০১৬ সালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মো. আবদুল বাসেত। তখন সেখানে বিভিন্ন বিভাগে ৫৫ জন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে প্রশাসন। এর দায়িত্ব দেওয়া হয় তৎকালীন রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েবকে। এখানে নিজের পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে চান আব্দুল বাসেত। কিন্তু এই অবৈধ দাবি না মানায় ওই সময় রেজিস্ট্রারকে মারধর করেন আবদুল বাসেত। এ ঘটনায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরোধ চরমে ওঠে। প্রক্টরের অপসারণ দাবি করেন কর্মকর্তারা। সহকর্মীকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ও প্রক্টর আব্দুল বাসেতের অপসারণ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫৫ শিক্ষক ভিসির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে প্রক্টর বাসেত পদত্যাগ করলে বিষয়টির সমাধান হয়।

সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন

এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহিরের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আবু জাহির গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

ইউজিসির চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন বলেন, ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচনই করা হয়নি। অবকাঠামো ও প্রশিক্ষণাগার নেই, অথচ শিক্ষার্থী ভর্তি করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এই নামমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট নিতে পারবে। কিন্তু সুছাত্র বা সুনাগরিকের শিক্ষাদীক্ষা পাবে বলে মনে হয় না।’ তিনি বলেন, ‘নিয়োগের ক্ষেত্রেও আমরা দেখেছি মেধার কোনো মূল্যায়ন হয়নি। ইচ্ছেমতো আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এসব নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছভাবে যোগ্যদের নতুন করে নিয়োগ দেওয়া উচিত। স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরির পাশাপাশি যথাযথভাবে ভার্সিটির কার্যক্রম শুরু করা উচিত।