৪০ দিন প্রশাসন বিহীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ তিনজনই পদত্যাগ করেছেন। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব একজন সিনিয়র অধ্যাপককে দেওয়া হলেও ক্যাম্পাসে স্থবিরতা কাটেনি৷ ব্যহত হয়ে পড়েছে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সেশনজটের কবলে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
তাই অবিলম্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে স্থবিরতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে দুর্নীতিমুক্ত উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ নিয়ে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটক সংলগ্ন খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে আসেন। পরে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
এসময় তারা 'সবাই যখন স্বর্গে ইবি কেন মর্গে', 'ভিসি ভিসি ভিসি চাই, ইবিতে ভিসি চাই', ‘ভিসি নিয়ে নয় ছয়, আর নয় আর নয়', 'ঢাবি, রাবি ভিসি পায়, ইবি কেন পিছিয়ে রয়', 'সংস্কারমনা ভিসি চাই' 'দুর্নীতিমুক্ত ভিসি চাই', 'সৎ ও সাহসী ভিসি চাই', 'সেশনজটর কবর চাই' সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ইতোমধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হয়ে গেছে। কিন্তু ইবিতে এখনো উপাচার্য দেওয়া হয়নি। ফলে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম পিছিয়ে যাচ্ছে। ঠিকমতো আমাদের ক্লাস হচ্ছে না। উপাচার্য না থাকায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। আমরা চাই অতি দ্রুত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হোক। সেই সাথে একজন সৎ, যোগ্য ও সংস্কারমনা উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উাপাচার্য নিয়োগ হয়ে গেছে। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দিতে কেন বিলম্ব হচ্ছে। আমরা চাই, অবিলম্বে সৎ এবং সংস্কারমনা উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হোক।
এআই