৩ নভেম্বর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রদল শাখার নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা যায়। এই ঘটনার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। পাবিপ্রবি রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস হলেও এমন কর্মকাণ্ড ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা ।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি দল ৪ নভেম্বর দুপুর ২:৩০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আউয়ালের কাছে স্বারকলিপি জমা দিয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সুশৃঙ্খল পরিবেশ রক্ষায় নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
স্মারকলিপি হাতে পাওয়ার পর উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে অবগত হয়েছি। আমরা চাই এই ক্যাম্পাসটা রাজনীতিমুক্ত থাকুক। এই বিষয়ে আমি এখন তোমাদের সাথে কোন কথা বলবোনা, আমি পরে তোমাদের সাথে এই বিষয়টা নিয়ে বসবো।’
উপচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের পর শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. তানভীর হায়দার এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. রাশেদুল হকের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, ‘ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরেও একটা রাজনৈতিক দল এখানে কর্মসূচি পালন করেছে এটা আমাদের জন্যেও উদ্বেগের। এখানে আমাদের ব্যর্থতা আছি এটা আমি স্বীকার করি। তবে আমরা যে এ বিষয়টা নিয়ে বসে আছি ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা এরই মধ্যে এই বিষয়টা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত আমরা খোঁজা শুরু করেছি। আমরা অতিদ্রুত এই ব্যবস্থা নিতে পারবো বলে আশা করছি।’
উল্লেখ্য, রবিবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান সুমিত, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাইয়্যুমুল হাসান ও ফারহান আরিফ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে আসেন। তারা মুক্তমঞ্চের পাশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং দলীয় পরিচিতি হিসেবে কিছু বই বিতরণ করেন। শিক্ষার্থীদের সামনে তারা দলের ‘গৌরবোজ্জ্বল অতীত, সংগ্রামী বর্তমান ও আগামীর প্রতিশ্রুতি’ এবং বিএনপি'র ‘তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ সংবলিত বই বিলি করেন।