রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিরোধিতাকারী, ছাত্র-নির্যাতনকারী, শহিদ আবু সাঈদ হত্যার পরোক্ষ পরিকল্পনাকারী ও স্বৈরাচারী সরকারের অন্যতম দোসর ইতিহাস ও প্রত্নতত্ব বিভাগের শিক্ষক মোঃ গোলাম রব্বানীকে আইনের আওতায় এনে প্রশাসনিক ও আইনগত শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার( ০২ ডিসেম্বর) বেলা তিনটায় প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্যের রুমে শিক্ষক রব্বানীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানান,"আমরা আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সৈনিক । বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক জনাব মোঃ গোলাম রব্বানী, যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন আওয়ামীপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত, তিনি জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চরম বিরোধিতা করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিরোধীতা করার বহু প্রমাণ ইতোমধ্যে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষামূলক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। "
স্মারকলিপিতে তারা জানান, "১৪ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলায় সেই রাতেই "তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার। কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার স্লোগানে কম্পিত হয় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ছাত্রদের এই আন্দোলনের তীব্র বিরোধিতা করে প্রতিপক্ষ স্বৈরাচার সরকার পাল্টা স্লোগান দেয়, তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আবু সাঈদ হত্যার আগের দিন ১৫ জুলাই রাতে মোঃ গোলাম রব্বানী তার ফেসবুক ওয়ালে শেখ হাসিনার ছবি পোস্ট করে লিখেন 'তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি ।যা থেকে বুঝা যায়, স্বৈরসরকারে দোসর জনাব মোঃ গোলাম রব্বানী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান করেন। "
পরিশেষে স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানাই,"আমাদের শহীদ আবু সাঈদ এর আত্মার শান্তির জন্য স্বৈরশাসরেক দোসর, গণহত্যার উস্কানিদাতা ও ছাত্র নির্যাতনকারী একজন শিক্ষক হিসেবে মো: গোলাম রব্বানীকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করে শহীদ আবু সাঈদ এর ক্যাম্পাসকে কলংফ মুক্ত করবেন।"
স্মারকলিপি গ্রহণ করার পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলি বলেন, " এসব বিষয় জানার জন্য আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। তখনই বিষয়টা বলার লাগতো। এখন আবার নতুনভাবে বিষয়টা নিয়ে কাজ করতে হবে। সত্য তার আপন গতিতে চলবে। একদিন সত্য উদঘাটন হবেই হবে।