বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা অবশ্যই বাতিল করতে হবে। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই স্ট্যাটাস দেন তিনি।
সারজিস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধার মধ্যে দিয়ে সন্তান লালনপালন করেও এই এক্সট্রা (বাড়তি) বৈষম্যমূলক কোটা সুবিধা নিতে চায় তারা আর যাই হোক বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষ হতে পারে না। মাঠে কাজ করা দিনমজুর, রিকশাচালক, শ্রমিক সহ দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষের সন্তানদের বিপরীতে গিয়ে এই কোটা সুবিধা নেওয়া আপনার দূর্বল ব্যক্তিত্বের পরিচয় তুলে ধরে, আপনার আত্মসম্মানের মানদণ্ড সেট করে, আপনার আত্মমর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
তিনি আরও লেখেন, সারাদিন সরকার, দেশ, মানুষ নিয়ে হাজারটা সমালোচনা করলাম আর নিজের বেলা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকলাম অথবা বৈষম্যের পক্ষে সাফাই গাইলাম; এমন ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ভন্ডামির বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় একাডেমিক সুযোগ সুবিধা অন্য সাধারণ দশটা পরিবারের চেয়ে ভালো পাওয়ার পরেও যদি আপনার সন্তান নিজের যোগ্যতায় একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পায় তাহলে সে যেখানের যোগ্য অনুগ্রহ করে তাকে সেখানেই ভর্তি করান। তুলনামূলক যোগ্য কারো হক নষ্ট করবেন না। জীবনের সব ধাপে কিন্তু এই কোটা সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই পরিশ্রম করে নিজ যোগ্যতার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মত করে সন্তানকে গড়ে তুলুন। দেশ পরিবর্তন করতে চাইলে সবার আগে নিজে পরিবর্তন হতে হবে, নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে, নিজের দায়িত্বটুকু পালন করতে হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরো বাংলাদেশে পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান সারজিস আলম।
একই স্ট্যাটাসে তিনি স্লোগান লেখেন, ‘পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’; ‘পোষ্য কোটার দিন শেষ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ’।