বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

| ২ মাঘ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

শাটডাউনে বন্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা

ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

শাটডাউনে বন্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শাটডাউনে বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা। তবে চালু ছিল সকল দপ্তরের প্রশাসনিক কার্যক্রম। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। সোমবার থেকে শিক্ষার্থীরা শাটডাউনের ঘোষণা দেয়। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় দাবি পূরণের বিষয়ে আশানুরূপ সিদ্ধন্ত না আসলে ফের টানা শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিবেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সোমবার রাতে মন্ত্রণালয়ের দাবি মেনে নেওয়ার লিখিত অঙ্গীকারে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বুধবারে আলোচনায় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত শাটডাউন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন অনশনকারী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় বিশ্বিবদ্যালয়ে এসে দেখা যায়, শাটডাউনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কোনো বিভাগেই ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এমনকি কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়নি। দপ্তরগুলো খোলা থাকলেও সীমিত কার্যক্রম দেখা গেছে। শহিদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের মেইন গেইটে তালা লাগিয়ে শাটডাউন লেখা ব্যানার সাঁটানো রয়েছে। তবে পকেট গেট খোলা রয়েছে। সেখানে ছাত্র-কল্যাণ দপ্তরে গিয়ে কথা হয় কম্পিউটার কাম অপারেটর হাফিজুর রহমানের সঙ্গে।

তিনি জানান, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। সীমিত আকারে চলমান রয়েছে কার্যক্রম। এর মাঝেও যারা আসছে তাদেরকে সেবা দিচ্ছি। বিভিন্ন দপ্তরের চিঠি চালাচালি হচ্ছে।

শাটডাউনের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের আনতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন রুটে নিয়মানুযায়ী ছেড়ে গেছে বলে জানান পরিবহন দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্টার মনসুর আলম। তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী জবির বাস আজ সকালে শিক্ষার্থীদের আনতে গিয়েছিল। আগামীকালও যাবে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন বলেন, কমপ্লিট শাটডাউনের মধ্যেও এ কাজ চলমান রয়েছে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে কোনো ফাইল পেন্ডিংয়ে থাকে না। সিটিজেন চার্টার সময় অনুযায়ী আবেদনের এক সপ্তাহের মধ্যে সার্টিফিকেট, মার্কশীটসহ সকল সেবা সম্পন্ন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হল -সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি স্বাক্ষর করা; পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে; যত দিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয়, তত দিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ, রোববার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৪ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হন। উপাচার্যের বারবার অনুরোধেও অনশন ভাঙেনি শিক্ষার্থীরা। পরে সোমবার বিকাল পাঁচটায় সচিবালয়ের অবস্থান নেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।