বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

| ২৩ মাঘ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

নীলক্ষেত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

ক্যাম্পাসবাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১৩, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

নীলক্ষেত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় গতকাল রবিবার (২৬ জানুয়ারি) মধ্য রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘণ্টার সংঘর্ষ-ধাওয়া পালটা ধাওয়া শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনার পর নীলক্ষেত মোড়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেন। এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে সায়েন্স ল্যাবসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবরোধ করবে।
এ ঘটনায় আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই নীলক্ষেত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, নীলক্ষেত মোড়, নিউ মার্কেট এলাকায় বিপুল পরিমান পুলিশ ও এপিবিএনের সদস্যা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের কাউকে এখনো ওই এলাকায় দেখা যায়নি।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের বাসভবন অবরোধের জন্য আন্দোলনরত সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত সংলগ্ন প্রবেশ পথের বাইরে অবস্থান করলে ভেতরে অবস্থান নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে দু পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসন সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, সাত কলেজের বিষয়ে কিছু জানেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, দুই পক্ষের এই সংঘর্ষ শুরুর আগে রাত ১০টার দিকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদকে ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে বলেছিল। তবে তিনি সে সময় সেটা করেননি। যদিও ড. মামুন রাত ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের দু’পক্ষ সংর্ঘষ জড়ানোর পর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য এক ভিডিও বার্তা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, রাত ১০টার দিকে তিনি এই দুঃখপ্রকাশ করলে দু’পক্ষ সংর্ঘষ জড়ানো এড়ানো যেত। তার এই দূরদর্শিতার অভাবে সংর্ঘষ বড় ধরনের রূপ নেয়।