সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত আছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের শাহজাদপুর শহরের বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
একই দাবিতে রবিবারও বেলা সাড়ে ১১টা দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, সচেতন নাগরিক ফোরাম, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শাহজাদপুর স্বার্থরক্ষা কমিটি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস দীর্ঘদিনেও হয়নি। তাই দাবি একটাই, স্থায়ী ক্যাম্পাস। দীর্ঘ সময় ধরে অস্থায়ীভাবে শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মাওলানা সাইফুদ্দিন কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার শিক্ষার্থীর জন্য পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্পাস ও হল না থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকছেন।
একই সময় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছে শাহজাদপুর স্বার্থরক্ষা কমিটি। একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছে শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক ফোরাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় ক্যাম্পাসের দাবিটি যৌক্তিক দাবি। এ দাবির সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করেছি। গত বৃহস্পতিবার রাতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৯৯ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীর স্বাক্ষরসংবলিত একটি স্মারকলিপি শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে শাহজাদপুর স্বার্থরক্ষা কমিটি ও সচেতন নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে তাদের নেতারা পৃথক স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। এর আগে তাঁরা এ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পৃথক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম হাসান তালুকদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে গত আট বছরে এ পর্যন্ত সাত থেকে আটবার প্রস্তাবিত প্রকল্পের বাজেট পর্যালোচনা করে কমানো হয়েছে। শুরুতে প্রস্তাবিত ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা থেকে বাদ দিয়ে এখন ৫৯৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনের সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করে অনুমোদনের কথা রয়েছে।