সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫

| ২৪ চৈত্র ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল ইবি

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ৭ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল ইবি

ফি'লি'স্তি'নি'দের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে সংহতি জানিয়ে 'গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা' কর্মসূচির  অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার  বেলা ১১ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শেখপাড়া বাজারের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর,  ফিলিস্তিনে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব দে', ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও লড়াই করো’, ‚একশন টু একশন ডাইরেক্ট একশন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও লড়াই করো’, ‘বিশ্ব মুসলিম জাগরে জাগ ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ‘বয়কট বয়কট ইসরায়েল বয়কট, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘স্টপ জেনোসাইড’ ইত্যাদি স্লোগানে ফেটে পড়েন। 

এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রশিবির ইবি শাখার সেক্রটারী আবু ইউসুব বলেন, ‘গত রমজানে গাজাবাসীর উপর বর্বরচিত হামলা শুরু করেছিল। তারা যুদ্ধ বিরোধী চুক্তিকে উপেক্ষা করে তারা ফিলিস্তিনের উপর বর্বরোচিত হামলা শুরু করেছিল। রাসুল (স.) সময়েও হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করেছিল কাফের সম্প্রদায়। এভাবে তারা যখন যুক্তি ভঙ্গ করেছিল আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে তারা পৃথিবীর বুক থেকে মুছে গিয়েছিল। আমরা ইসরাইলিদের বলে দিতে চাই যেহেতু তোমরা চুক্তি ভঙ্গ করেছ তোমরাও বেশি দিন পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে পারবে না, অতি শীঘ্রই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরাইলকে মুছে ফেলা হবে। এ সময় তিনি  ইসরাইলে পণ্য ব্যবহার না করার অনুরোধ জানান। ’

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার প্রধান সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘আমরা সামনাসামনি দেখতে পাই যে ফিলিস্তিনের উপর এ হামলা করছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। কিন্তু ইসরায়েল একার পক্ষে এ হামলা চালানো সম্ভব নয়। ইসরায়েলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বৃটেন এবং ভারত। ইসরায়েলকে বয়কট করার পাশাপাশি এদেরকেও বয়কট করতে হবে। ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে বোঝা যাচ্ছে তারা আগামীতেও এই গনহত্যা চালিয়ে যাবে। তাই শুধু বিক্ষোভ মিছিল করেই আমাদের কাজ সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। ইতিমধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের যে দামামা বেজে উঠেছে তার জন্য আমাদেরকেও শারীরিক এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’