রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

| ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

কোটা আন্দোলন:নীলক্ষেত মোড় অবরোধ ইডেন কলেজ ছাত্রীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ৭ জুলাই ২০২৪

কোটা আন্দোলন:নীলক্ষেত মোড় অবরোধ ইডেন কলেজ ছাত্রীদের

ছবি: সংগৃহীত

কোটা বিরোধী আন্দোলনের 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছেন ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৭ জুন)  বিকেল ৩টায় শিক্ষার্থীরা কলেজ গেট থেকে একটি র‍্যালি নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন।এতে বন্ধ সড়কের যানচলাচল। 

এসময় শিক্ষার্থীরা ’১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ১৮ এর পরিপত্র, বহাল করতে হবে’, সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ' সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে", 'কোটা না মেধা, মেধা মেধা' সহ নানা স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের অবস্থানের ফলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় নীলক্ষেতে ফলে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে যেতে দেখা যায়। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন না তারা।

ছাত্রীরা বলেন,আমরা নারী হলেও নারী কোটা চাই না। নারীরা যেখানে অগ্রসর, কোটা সেখানে হাস্যকর।কোটা যদি রাখা হয় কেবল প্রতিবন্ধী ও সুবিধা বঞ্চিতদের জন্যই রাখা হোক। আমরা চাই মেধার মূল্যায়ন হোক,বৈষম্য না থাকুক। আপাতত রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে তাই জনগণের উচিত আমাদের পাশে থাকা। যতদিন না কোটার অভিশাপ দূর হচ্ছে ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

পথচারী ও যাত্রীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন, সব জায়গাতে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।তাদের দাবি যৌক্তিক কিন্তু আমাদেরও তো অসুবিধা হচ্ছে।সড়ক অবরোধ করায় কত মানুষের সমস্যা হচ্ছে।এত জ্যাম রাস্তায়। যে যা-ই করে  পস্তায় জনগণই। শিক্ষার্থীদের আর কী বলবো সরকার তাদের দাবি মেনে নিলেই হয়। 

এর আগে গত শনিবার শাহবাগে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি ঘোষণা করে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা।ঘোষণা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধর্মঘট ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে। এসময় শিক্ষার্থীরা শহর ও জেলার  প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।

শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে এ আন্দোলন করছেন। দাবিগুলো হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ছাড়া); সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।