ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে সড়কে আগুনে জ্বেলে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এর ফলে ঢাকা কলেজস্থ মিরপুর সড়কের একটি অংশে সাময়িক সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে পদবঞ্চিত আনুমানিক ৩৫ জন নেতাকর্মী নায়েমের গলি থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি মিরপুর সড়ক হয়ে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক জামিল বলেন, গত এক মাস আগে ছাত্রদলের সেক্রেটারি নাছিরের এলাকার উপজেলা সাধারণ সম্পাদককে সাইন্সল্যাব থেকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করছিলাম। পরে সে নিজে এসে থানা থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। সেই ক্ষোভের কারণে আমাকে ও আমার সহযোদ্ধাদের কমিটি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ঢাকা কলেজের ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট যে যে কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে সেখানে ৩/৪ ছাত্রলীগ আছে।
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তাসবিরুল ইসলাম বলেন, শুধু আমি নই দীর্ঘদিন যারা রাজপথে ছিল, আন্দোলন করেছে, কারা নির্যাতিত হয়েছে তাদেরকে এ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি সেক্রেটারি নিজস্ব লোকদের নেতা বানানোর জন্য এবং সেই কমিটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য তারা তাদের অনুগতদের দিয়ে কমিটি করেছে। এ কমিটি আমরা মানি না। আমরা গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, সেই আন্দোলন আমরা আমাদের জীবনের সবকিছু দিয়ে আন্দোলন করেছি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। আমরা রাকিবের এই অবৈধ কমিটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, অবৈধ কমিটি, মানি না মানবো না, রাকিব নাছিরের প্রতি বিনয়ের সাথে বলতে চাই ঢাকা কলেজ ছাত্রদলে যারা বিগত সময়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তাদেরকে দিয়ে অচিরেই কমিটি দিন। ঢাকা কলেজ ছাত্রদলকে মূল্যায়ন করুন আর তা যদি না হয় তাহলে আমাদের সাথে এ ধরণের বৈষম্য আমরা মেনে নেব না। হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই আমাদের শরীরে যতক্ষণ পর্যন্ত রক্ত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের ন্যায্যতা ফিরে পাওয়ার আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এর আগে দুপুরে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দরা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন।