‘সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে রোভার’ স্লোগান নিয়ে ১ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার গাজীপুর জেলার বাহাদুরপুরে শুরু হয়েছে সুবর্ণজয়ন্তী রোভার মুট -২০২৪। এতে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউটস গ্রুপ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গার্ল-ইন রোভার স্কাউটস গ্রুপের দুটি ইউনিট।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭ টায় কুবি ক্যাম্পাস হতে যাত্রা শুরু করে দুপুর ২ টায় রোভার স্কাউটস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গাজীপুরে পৌঁছে কুবি রোভার স্কাউটসের দুটি ইউনিট।
এই রোভার মুটে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের রোভার স্কাউটসের মোট ৬০০টি ইউনিট অংশগ্রহণ করেছেন।
সুবর্ণজয়ন্তী রোভার মুটে অংশগ্রহণ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউটস গ্রুপের রোভারমেট নুরে আলম, মোহাম্মদ বাবুল মিয়া, সহকারী রোভারমেট মো. শফিকুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দীক, সাইফুল মালেক আকাশ, রোভার সদস্য মো. লোকমান, সাঈদ হাসান কানন ও স্বপ্নীল মূখার্জী।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গার্ল-ইন রোভার স্কাউটস গ্রুপের মধ্যে রয়েছে, রোভারমেট শারমিন আক্তার লাকি, সহকারী রোভারমেট রোম্মানা হোসেন, রোভার সদস্য সাবিহা সুলতানা বেলী, ফারিহা তাসনিম মুন, ইসরাত জাহান নওশিন, রিছাতুজ্জামান রিছা, সামিয়া খান।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউটসের গ্রুপ সম্পাদক ও স্কাউট লিডার মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, প্রতি চার বছর অন্তর এই রোভার মুট হয়ে থাকে। এবার রোভার অঞ্চলের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২৪ সালে এসে সুবর্ণজয়ন্তী রোভার মুট পালিত হচ্ছে। এটি রোভারদের জন্য এক সুবর্ণ আয়োজন।
তিনি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ও রোভার স্কাউটসের গ্রুপ সভাপতি প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন স্যারের সার্বিক দিক-নির্দেশনা ও সহযোগিতায় আমরা কুবি থেকে দুটি ইউনিট পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য আমরা আনন্দিত। প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়ায় আশা করি আমাদের রোভাররা এখান থেকে অনেক দক্ষতা অর্জন করবে এবং নিজেদের দক্ষ সুনাগরিক করে গড়ে তুলতে পারবে। কুবি রোভার স্কাউট একদিন দেশসেরা রোভার স্কাউটস ইউনিট হবে এই প্রত্যাশায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি শুভকামনা।
গার্ল-ইন রোভার স্কাউটস লিডার ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘রোভার স্কাউটসের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তীর মুটটি আমাদের ও রোভারদের কাছে এক গর্বের বিষয়। সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় হতে এই প্রথম কোন জাতীয় মুটে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে। যা সত্যিই আনন্দের এবং গর্বের। জীবনে বড় হতে হলে কঠোর পরিশ্রম আর অনুশীলনের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, স্কাউটিংয়ের শিক্ষা ব্যক্তি, পরিবার ও সামাজিক জীবনে প্রতিফলন করা গেলে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত হবে। স্কাউটিং একজন শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ার পাশাপাশি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হাতে কলমে শিক্ষা দেয়। স্কাউটিংকে দেশসেবা ও মানবিক কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।’