শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

| ৩ কার্তিক ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

পরিদর্শন প্রতিবেদন ইউজিসির

জাহাঙ্গীরনগরে হলের আসনের বেশি ভর্তি নয় : ইউজিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগরে হলের আসনের বেশি ভর্তি নয় : ইউজিসি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। প্রতিবেদনে আট দফা সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে হলের আসন সংখ্যার বাইরে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে। 

ইউজিসি সুপারিশে বলেছে- ক্যাম্পাসে সংঘটিত ধর্ষণ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে; বিভিন্ন সময়ে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে; জাবি একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, হলের আসন সংখ্যার সমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা হওয়া বাঞ্ছনীয়। 

ক্যাম্পাসে ধর্ষন কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইউজিসির এই পরিদর্শন প্রতিবেদন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে যেন তারা এই প্রতিবেদন তারা অনুসরণ করেন।

- প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব), ইউজিসি।

সুপারিশে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের যে ৩টি রাস্তা রয়েছে তা বন্ধ করে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা যেতে পারে; ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা উচিৎ এবং প্রতিটি স্থান নজরদারীর আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন; শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করা ছাত্র-ছাত্রীদের হলের সিট অবশ্যই বাতিল করে হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করতে হবে; শিক্ষার্থীদের হলের নিয়ম- কানুন মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে।

ইউজিসির তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ছিলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগ পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, একই বিভাগের উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ ও সহকারী পরিচালক সেহজাদ রিফাত সিয়াম। 

ধর্ষনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা পর্যবেক্ষন করতে এই কমিটি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেটের জরুরী সভা আহবান করে ধর্ষণ এবং ধর্ষণকারীকে হল থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও বহিরাগত মামুনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা করার কথা জানিয়েছে। অপরাধে জড়িত ৬জন শিক্ষার্থীর জন্য শান্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করত: শাস্তির সুপারিশ প্রদানের জন্য প্রফেসর ড. অজিত কুমার মজুমদারকে সভাপতি করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে বহিরাগত একজনসহ অভিযুক্ত ৭ জনের নাম উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইতোমধ্যে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ৫জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ ৬জন শিক্ষার্থীর সনদ স্থগিত করা হয় যা সিন্ডিকেট সভার তারিখ থেকে কার্যকর করা হয়েছে। ৬জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় যা সিন্ডিকেট সভার তারিখ থেকে কার্যকর করা হয়েছে। তাছাড়া জাবি কর্তৃপক্ষ যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সে তদন্ত কমিটির কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ প্রসঙ্গে বলেন, ক্যাম্পাসে ধর্ষন কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইউজিসির এই পরিদর্শন প্রতিবেদন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে যেন তারা এই প্রতিবেদন তারা অনুসরণ করেন।

এজেড